Life Story Bangla Sofol Manusher Jibonee Bengali Font Life Motivation

ঈশ্বর মানুষকে যেখানে অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় অনেক বেশী শারীরিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্য এবং সুযোগ সুবিধা প্রদান করেছেন তার সাথে সাথে আরও একটি অভিনব অনুদান স্বরূপ, সংকল্পের শক্তিও প্রদান করেছেন, যার সামর্থ অপার।

আত্মসত্তার অন্তরালে অপার ঐশ্বর্য লুকিয়ে আছে। এদের রহস্যময় বলা যেতে পারে। সাধারণ পরিস্থতিকে অতিক্রম করে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে যাওয়া, বাঁধা বিপত্তির সাথে লড়তে পারা, উপযুক্ত সন্ধান সামগ্রীকে ব্যাক্তিত্বের চুম্বকের সাহায্যে আকর্ষন করে একত্রিত করা, অসংখ্য মানুষের সম্মান ও সহযোগিতা লাভ করা ইত্যাদি হলো সৎ ব্যাক্তিত্ববানদের বাঁ হাতের খেলা। এক মাত্র সৎ পথে পরিচালিত সংকল্প শক্তির সাহায্যেই ব্যাক্তিত্ব কে এতো উচ্চস্তরে ওঠানো যেতে পারে। যা দেখে দেবতারা পর্যন্ত ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়বে।

Sofol Manusher Jibone Bangla Life Story

 

সদুদ্দেশ্যের সাথে অগ্রসর হওয়া, পর্বত শিখরে আরোহণ করার মত গৌরবের কাজ। কিন্তু এই কাজটি খুবই কষ্টসাধ্য। একে সম্পন্ন করার সময় কুসংস্কার এবং দিগভ্রান্ত জনসমাজ প্রতিটি পদক্ষেপে সমস্যার সৃষ্টি করে। যার উপর নির্ভর করে এমন দুঃসাহসিক যাত্রা সম্পন্ন করা হয়, তাকে দৃৃঢ় সংকল্পই বলা চলে।

নেপোলিয়ন তার এই দৃৃঢ় সংকল্পের সাহায্যেই সৈন্যবাহিনী নিয়ে পায়ে হেঁটে অজেয় আল্পস পর্বতমালা কে অতিক্রম করে, সারা পৃথিবীতে এক অতুলনীয় কীর্তি স্থাপন করেছিলেন।

সেরপা তেনজিং এবং এডমন্ড হিলারী পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত শিখর এভারেস্ট পৌঁছানোর দুঃসাহসিক অভিযান সম্পন্ন করেছিলেন এবং সেখানে নিজেদের বিজয় পতাকা উত্তোলন করার সময় ঘোষণা করেছিলেন যে, এই পৃথিবীতে কোনো কাজই কঠিন নয়, যাকে সংকল্প শক্তির দ্বারা পরাস্ত করা যায় না।

The life Stories of Great and World famous people in Bengali

  • উদাহরণ স্বরূপ, মহর্ষি বাল্মিকী এবং অঙ্গুলীমালের মতো ডাকাত সাধুতে পরিনত হন। কোন এক সময়ের ক্রুর ও নির্দয় শাসক, অশোক যখন পরিবর্তিত হন তখন তিনি ধর্মচক্র প্রবর্তনের কাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং বৌদ্ধ ধর্মেকে ব্যাপক প্রচার করার উদ্দেশ্যে নিজের সমস্ত ঐশ্বর্য্য নিয়োজিত করে দেবার মতো এক অভূতপূর্ব পরিবর্তনকে সম্ভব করে দেখিয়ে দিয়েছিলেন।

কোনো এক সময়, অন্যকে বিপথগামী এবং অধঃপতিত করার মত নগরবধু আম্রপালী, ব্রত ধারণ করে পরম সাধ্বীতে পরিনত হয় এবং ঋষিদের মত সর্বত্র শ্রদ্ধা ও প্রশংসা অর্জন করে।

  • অজামিল, সদন ইত্যাদি অসংখ্য ক্রুর প্রকৃতির ব্যাক্তিদের, সময় বিশেষে এমনই আন্তরিক অমূল পরিবর্তন, তাদের সংকল্প শক্তির পরিচায়ক। এই ধরনের অসংখ্য পরিবর্তনের ঘটনা একমাত্র সংকল্প শক্তির মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে।

অসফলতা কেবল একথাই স্মরণ করিয়ে দেয় যে, সফলতা লাভের জন্য যতটা তৎপর হওয়া উচিত ছিল, তাতে কোথায় কতোটা কি ধরনের ঘাটতি রয়ে গেছে। মনীষীরা কখনো হার মানেন না, তারা প্রত্যেকটি অসফলতার পর দ্বিগুণ সাহস এবং চারগুণ উৎসাহ সহকারে নিজের সুনিশ্চিত লক্ষ্যের পথে এগিয়ে যান।

  • আব্রাহাম লিঙ্কন ১৭ বার ভোটে পরাজিত হবার পরও রাষ্ট্রপতির নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন। গরীব পরিবারে জন্মগ্রহণ করার জন্য তাঁকে সবরকম কষ্ট সহ্য করতে হলেও কখনোই তিনি হতাশ হননি, বরং প্রত্যেকটি পদক্ষেপে কঠিন পরিস্থিতির সাথে সংগ্রাম করে এগিয়ে যান।

জর্জ ওয়াশিংটন আমেরিকার একজন শ্রদ্ধেয় রাষ্ট্রপতি রূপে খ্যাতি লাভ করেন। তাকে জন্মের পর থেকেই দারিদ্রের সাথে লড়াই করতে হয়েছে এবং প্রৌঢ় হওয়া অবধি নিজের পুরুষার্থের দ্বারা ক্রমাগত উন্নতি করা কাজে যুক্ত ছিলেন। তিনি একমাত্র নিজের সাহায্য ছাড়া অন্য কারো কাছে উল্লেখযোগ্য সাহায্য পাননি।

  • ভীষ্ম পিতামহ সারাজীবন ব্রহ্মচারী হয়ে থাকার ব্রতধারন করেছিলেন এবং নির্বিঘ্নে সেই ব্রত পালন করে দেখাতে সক্ষম হয়ে ছিলেন। মন অধঃপতিত করে, শরীর নয়। মনোবল দৃৃঢ় থাকলে, কোনরকম মানসিক দুর্বলতা কবলে পড়তে হয় না আর পশু প্রবিত্তিগুলিও মনে ও মস্তিষ্কে চড়তে সাহস পায় না।

ভাগীরথের, গঙ্গা অবতরণ করানোই ছিলো একমাত্র লক্ষ্য। তিনি নিরন্তর প্রয়াসরত থাকায় তপশ্চর্যার মাধ্যমে কাজটিকে পূর্ণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। শরীর প্রেমিক ফরহাদও উঁচু পাহাড় কেটে লম্বা নালা খুঁড়ে আনবার কাজে সফল হয়েছিলেন।

  • জগৎগুরু শংকরাচার্যের জীবনের প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন পরিস্থিতি ছিল না, যার দ্বারা কোন বড় ধরনের প্রচেষ্টা সার্থক করা যেতে পারে। কিন্তু তিনি তার প্রচন্ড প্রতিভাকে হৃদয়ঙ্গম করে নেবার পর, যখন কোন মহান কাজে ব্রতী হয়ে পড়েন, তখন তিনি তার পরবর্তী কালের মহান কীর্তিগুলির মাধ্যমে ভারতীয় সংস্কৃতিকে এক নতুন দিশা প্রদান করেছিলেন।
  • বিশ্ব বিখ্যাত ইংরেজ সাহিত্যিক এইচ. জি. ওয়েলস এ মা পরের বাড়ীতে বাসনা মাজার কাজ করে নিজের ও সন্তানদের ভরন পোষন করতেন। এই ধরনের শিশুদের সাধারণত ভবিষ্যত বলে কিছু থাকে না।

কিন্তু ওয়েলস্ এর ব্যাক্তিত্ব এমনই ছিলো, যার সাহায্যে তিনি অদম্য উৎসাহ নিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য সুযোগ খুঁজতে শুরু করেন এবং সেই প্রচেষ্টায় একনিষ্ঠ থাকার ফলে, পরবর্তীকালে একজন বিশ্ব বিখ্যাত সাহিত্যিক হয়ে ওঠেন।

  • বৈজ্ঞানিক থমাস আলভা এডিসনের জীবন কাহিনীও ওয়েলসের সাথে অনেকটা মেলে, খোঁজ করলে দেশে বিদেশের এমন অগনিত প্রমাণ ও অজস্র উদাহরণ আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠবে, যাতে আর্থিক, পারিবারিক, শারীরিক সমস্যার সাথে সংগ্রাম করে গুণী মহামানবরা তাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর কাজে এতই বড় ধরনের সাফল্য অর্জন করেছিলেন, যাকে রীতিমত বিস্ময়কর বলা চলে।

বাস্তবে সংকল্পই হচ্ছে আমাদের দৃশ্যমান জীবনের এমনই এক দেবতা, যার অনুগ্রহের সুফল পাওয়া যে কোনো মানুষের পক্ষেই সম্ভব হতে পারে।

Sonkolpo dara jibone sofolota story

আদর্শবাদীরা যখন সদুদ্দেশ্য পূর্তির জন্য এগিয়ে যান, তখন তারা ধীরে ধীরে অন্যান্য সহৃদয় ব্যাক্তিদেরও সহায়তা লাভ করতে শুরু করেন। এই তথ্যটিকে রাম চরিত্রের সাথে খুব ভালোভাবে সংযুক্ত থাকতে দেখা যায়।

লক্ষণ, ভারত, কেবট এমনকি ভাল্লুক, বানররা পর্যন্ত তাকে সহযোগিতা করেছিল, এবং তাঁর শত্রুর ভাই পর্যন্ত তার সপক্ষে যোগদান করেছিল।

আদর্শবাদীর দৃঢ়তায়, প্রাথমিক কিছু সমস্যা নিশ্চিতরূপে দেখা দেবে, কিন্তু নিজের দৃঢ়তা এবং সততা প্রমাণিত করে দেবার পর চারিদিক থেকে সহযোগিতার বর্ষণ হতে শুরু করে। তখনই উপলব্ধি করা যায় যে উৎকৃষ্ঠতা অবলম্বনের মতো সাহসী পদক্ষেপের ফলে শুরুতে যতটা বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছিল, পরবর্তী সময়ে তা কত বেশী সুখকর ও শ্রেয়স্কর প্রমাণিত হতে পারে।

পুরুষ কিংবা নারী, বালক অথবা বৃদ্ধ, সুস্থ কিংবা রুগ্ন, ধনী অথবা নির্বোধ অবস্থার দরুন, উদ্দেশ্যপূর্তির কাজে কোনো তারতম্য দেখা দেয় না। প্রশ্ন কেবল সংকল্প শক্তির।

মনস্বী ব্যক্তি নিজের উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি করে নিতে সক্ষম হন। সময় কতটা লাগতে পারে এবং কতটা পরিশ্রম এর দরকার হেরফের হতেই পারে, কিন্তু আত্মনির্মানের উদ্দেশ্যে যত্নশীল ব্যক্তি নিজের আকাঙ্ক্ষাকে সক্রিয়তা এবং প্রখরতা অনুপাতে দেরিতে অথবা অবিলম্বে সফল করেই তোলেন।

একথা সত্যি যে পুরুষদের তুলনায় নারীদের সুযোগ-সুবিধার অনেক কম থাকে, কিন্তু এ বিষয়টিকে বল কতক্ষণ অব্দি সত্যি বলে মেনে নেওয়া হয়, যতক্ষণ তাদের মধ্যে হীনমন্যতা কাজ করে।

নারীরা যদি নিজেদের মধ্যে সাহস জাগিয়ে তোলে, সংকল্প শক্তিকে যদি সদুদ্দেশ্যে নিয়োজিত করতে শুরু করে, এক্ষেত্রে তাদের পক্ষে নিজেদের গরিমার প্রভাব বিস্তার করতে পিছিয়ে পড়াবার মতো কোনো কারণই থাকবে না।

মৈত্রি দেবি যাজ্ঞবল্কের সাথে, পত্নী নয় ধর্মপত্নী রূপে জীবন যাপন করেছিলেন। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের স্ত্রী সারদা দেবীর উদাহরণও সেই একই প্রকার।

সুকন্যার চ্যবন ঋষির সাথে থাকা, কোন বিলাস বাসনা পূর্তির জন্য নয় বরং তার মহান লক্ষ্যকে বাস্তবে পরিণত করার উদ্দেশ্যে তিনি তার সাথী হয়েছিলেন। জাপানের গান্ধী নামে পরিচিত কাগাবার পত্নী ও দিন দুঃখীদের সেবা করার উদ্দেশ্য নিয়েই তার সাথে দাম্পত্য সূত্রে আবদ্ধ হয়েছিলেন।

যেখানে নর পামরদের, দাম্পত্যজীবনে বিলাসিতা ও পশুপ্রবৃত্তির চরিতার্থ করা ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য থাকে না, সেখানে এমন আদর্শবাদী নর-নারীরও অভাব নেই, যারা বিবাহবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা তখনই অনুভব করে যখন তার মাধ্যমে ব্যক্তিগত সামাজিক উন্নতির কোন উচ্চস্তরের উদ্দেশ্য পূরণ করার প্রয়োজন দেখা দেয়।

সাধারণ নারীরা যেখানে কেবল নিজেদের সন্তানকেই সুখী এবং সম্পন্ন হতে দেখার কামনা করে, সেখানে এমনও অনেক মহিলা জন্মগ্রহণ করেছেন, যারা নিজেদের সন্তানকে কেবল ধনবান নয় বরং মহামানবে পরিণত করার স্বপ্ন দেখতেন। এবং তাদের সেই স্বপ্ন সার্থক করে তোলার জন্য নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গির এবং প্রচেষ্টারও অমল পরিবর্তন ঘটাতে পেরেছিলেন।

সেই মহান মহিলাদের মধ্যে একজন হলেন বিনোবা ভাবের মা, যিনি তার তিনজন পত্র সন্তানকে বনানীতে ব্রহ্মজ্ঞানীতে পরিণত করেছিলেন। শিবাজীর মা জীজাবাঈও এই ঘোরাবে গৌরবে গৌরাবান্বিত হন।

মদালসা নিজের সবকটি সন্তানকে ব্রহ্মচারী করে তুলেছিলেন। শকুন্তলা তার সন্তান ভরত কে এবং সীতা তার পুত্র লব কুশকেও আদর্শ সন্তান রূপে গড়ে তুলতে চেয়েছিলে। তারা যে ধরনের সাফল্য লাভ করেছিলেন তা অন্যান্য মায়েরাও পেতে পারেন। তবে শর্ত একটাই সেটি হল আদর্শের প্রতি মন্তব্য অন্তঃকরণে সঠিক ও গভীর শ্রদ্ধার প্রতিস্থাপন করা, এবং তাকে পূরণ করার জন্য যথাপোযুক্ত সাহস সঞ্চয় করা। একেই সংকল্প বলা হয়।

বংশ পরম্পরা বা পারিবারিক পরিস্থিতির হীনতা , কারো উন্নতির পথে চিরস্থায়ী অবরোধ সৃষ্টি করতে পারে না। এই ধরনের অসুবিধা অধিক মাত্রায় সংঘর্ষশীল হয়ে ওঠার জন্য আহ্বান জানানো ছাড়া অন্য কিছুই করতে পারে না।

সত্যকাম জাবালের অবৈধ পুত্র ছিল। তার মা কখনও এ কথা জানাতে পারেনি যে এই বালকের পিতা কে ছিলেন ? ঐত্রেয় ব্রাহ্মণ গ্রন্থের রচয়িতা ঋষি ঐত্রেয় ছিলেন ইতরা নামক একজন রক্ষিতার পুত্র। মহর্ষি বশিষ্ঠ এবং মাতঙ্গী ইত্যাদি মুনি ঋষিদের সম্বন্ধেও অনেকটা একই ধরণের বিবরণ পাওয়া যায়।

রুইদাস , কবীর , বাল্মিকী ইত্যাদির জন্ম খুব ছোট পরিবারে হয়েছিল কিন্তু তাতে তাঁদের মহানতার উচ্চ পদে পৌঁছাতে কোন স্থায়ী বাধার সৃষ্টি হয় নি। মানুষের সংকল্প শক্তি এতটাই বিশাল , যার সাহায্যে গন্তব্যপথে উৎপন্ন হওয়া প্রতিটি বাধা বিপত্তিকে পদদলিত করে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।

“ সাহসও হারাবে না , হারও স্বীকার করবে না ” পরিস্থিতির আনুকূল্যকে কিংবা প্রতিকূলতাকে কখনই অস্বীকার করা যায় না। শারীরিক সংকট দেখা দেওয়া, কোন অপ্রত্যাশিত রোগের সৃষ্টি হওয়াও মোটেই অসম্ভব নয়। পরিবারের স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় যদি কোন একজন সদস্যের বিচ্ছেদ ঘটে এবং তার জন্য শোক সন্তপ্ত হয়ে চোখের জল ফেলতে হয় , তাও অসম্ভব নয়।

এমন দুর্দিন প্রত্যেকটি পরিবারেই দেখা দেয় এবং প্রতিটি মানুষকেই এই পরিস্থিতি কখনও না কখনও সহ্য করতেই হয়। কেউ কি আজ অবধি তার মনের মত সাফল্য লাভ করতে পেরেছে? কারো কাছে সমস্ত মনোকামনাপূরণ করার মত কল্পবৃক্ষ আছে কি?

জীবনে এই ধরণের ঝড় ঝাপটা লেগেই থাকবে , যা খড়কুটো দিয়ে সাজানো পাখীর বাসাকে দমকা হাওয়ায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় উড়িয়ে নিয়ে ফেলতে পারে। এবং একটা একটা করে বোনা খড়কুটোর তৈরী ঘরের অস্তিত্বকে আকাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিতে পারে।

যদিও এমন পরিস্থিতিতে দুর্বল মানসিকতার লোকেরা খুব সহজেই ভেঙে পড়ে। নিয়তির বিধান অনুযায়ী প্রত্যেকটি বস্তু এবং ব্যক্তির বিনাশ অবশ্যম্ভাবী। মনোবাঞ্ছা এবং প্রচেষ্টাও সর্বদা সফল হয় না ।

এরা যে যার নিজের নিয়ম মেনে চলুক , কিন্তু এসবের জন্য মানুষ যেন ভেতর থেকে ভেঙে না পড়ে সেটাই হবে তার পক্ষে একান্ত গৌরবের বিষয়।

সমুদ্রের ধারে জমে থাকা বড় বড় পাথরের চাঁইগুলি বহু সময় ধরে নিজেদের জায়গায় অনড় হয়ে আছে। তাদের ওপর সমুদ্রের ঢেউ ক্রমাগত আঘাত করা সত্ত্বেও তারা কখনও হার স্বীকার করেনি।

আমাদের ভেঙে পড়াও উচিৎ নয় এবং কারো বশ্যতা স্বীকার করাও উচিত নয়। নিয়তির আহ্বানকে স্বীকার করে নেওয়া এবং তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে যাওয়াই হল মানবোচিত গৌরবকে অক্ষুন্ন রাখার একমাত্র উপায়।